আল মারজান:: “নাম দিয়ে কি হয়?” মনে হচ্ছে এই কথাই লেখক জিজ্ঞেস করছেন তার সহজ সরল অনবদ্য ভাষায় রচিত এই বইয়ের মাধ্যমে। ছোট্ট ছোট্ট গল্পগুলোতে সুনিপূনভাবে প্রকৃতি প্রেম আর রুঢ় বাস্তবতা তুলে ধরার প্রয়াসে লেখক সম্পূর্ণ সফলতা অর্জন করতে পেরেছেন। হৃদয়গ্রাহী কয়েকটি বাক্য পাঠক চিত্তে আলোড়ন জাগানোর সামর্থ্য রাখে। ছোটদের ভূতের কাল্পনিক ধারণা এবং বাস্তবতার সাথে মিল রেখে লেখক অত্যন্ত সুনিপুণ ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন ‘জল ভূতের কালো ছায়া’ বইটির মাধ্যমে।বিশেষ করে ‘জল ভূত’ গল্পের মাধ্যমে ভৌতিক রহস্যের আড়ালে আমাদের কল্পনা ও বাস্তবতা বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে। গল্পের বইটিতে কয়েকটি লাইন পাঠকের মনে দাগ কাটতে সক্ষম। যেমন : ‘নিশ্চয়ই ঠান্ডা লাগছে আমার নীলানের।’ কে এই নীলান? ছোট একটি পোষা কুকুরের জন্য ভালোবাসা এবং প্রাণীদের প্রতি আমাদের সদয় অনুভূতি কেমন হতে পারে বইটি পড়লে বুঝা যাবে। আমার বয়সী তার ছোট ছেলেটা হয়তো অপেক্ষা করছে কখন তার বাবা তাকে জিজ্ঞেস করবে’এই খোকন দেখ তো তোর লাল জামাটা পছন্দ হয়েছে কীনা?’ ‘হয়তো সে আরেকটি পাখির জীবন ধ্বংস করার চিন্তা করছে তখন’। এসব কথা কেন কাকে কী বোঝাতে লেখকের কলম থেকে বের হয়ে এসেছে তা জানার জন্য অন্তত বইটি পড়া উচিত। ভিন্ন স্বাদের ছোট ছোট শিক্ষণীয় গল্পে ছোটদের নৈতিক মূল্যবোধের দিক তুলে ধরা হয়েছে পুরো বইটা থেকে।আমি মনে করি ছোট বড় সকলের বইটি পড়া উচিত। আচ্ছা বলুন তো যে বই পাঠের তৃপ্তি, আনন্দ অন্যকে জানাতে ইচ্ছা করে সে বই আমরা অন্যকে পড়তে দেই,পড়তে বলি নয় কি? ভালো কথা তৃপ্তি বলতে মনে পড়ল বইটির আত্নতৃপ্তি অংশটি ভালো করে পড়বেন কিন্তু দেখবেন অনেকটা নিজেকে খুজে পাচ্ছেন।