ইংরেজিতে এমন কিছু শব্দ রয়েছে যা প্রায়ই আমাদেরকে বাংলায় লিখতে হয়। কিন্তু বাংলা ভাষায় এসব শব্দ লিখতে গিয়ে অনেকেরই ভুল হয়ে যায়। ছোটোদের মতো বড়োরাও এই ভুলটি করে থাকেন। যেখানে য-ফলা ব্যবহার করার কথা সেখানে ব্যবহার করা হয় এ-কার। আবার যেখানে এ-কার ব্যবহার করার কথা সেখানে ব্যবহার করা হয় য-ফলা! অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামেও ভুল বানানের উপস্থিতি দেখা যায়। ‘স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ না লিখে লেখা হয় ‘স্কুল এন্ড কলেজ’। আবার আইনজীবীগণকেও নামের টাইটেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে ‘এডভোকেট’, ‘এ্যাডভোকেট’ অথবা ‘অ্যাডভোকেট’ এরক ভিন্ন ভিন্ন বানান লিখতে দেখা যায়। যে স্থানে যেটা ব্যবহার করার কথা সে স্থানে সেটা না বসানোর অভ্যাসটাই আমাদের সমাজে বিস্তৃত হয়ে গেছে।
আজ আমরা বহুল পরিচিত কয়েকটি ইংরেজি শব্দের বাংলা বানানা সম্পর্কে জানব।
আমরা উকিল বা আইনজীবীকে যতই ‘এডভোকেট’ লিখি না কেন, সেটা সঠিক নয়; সঠিক বানান হচ্ছে ‘এ্যাডভোকেট’। এভাবে, মেনেজার হবে ‘ম্যানেজার’, মেগাজিন হবে ‘ম্যাগাজিন’, একাউন্ট হবে ‘অ্যাকাউন্ট’, ‘স্কুল এন্ড কলেজ’ হবে ‘স্কুল অ্যান্ড কলেজ’, চেটিং হবে ‘চ্যাটিং’, নেশনাল হবে ‘ন্যাশনাল’, সেন্ডউইচ হবে স্যান্ডউইচ, ভেকেন্সি হবে ‘ভ্যাকেন্সি’, স্টেম্ব হবে ‘স্ট্যাম্প’, এসোসিয়েশন হবে ‘অ্যাসোসিয়েশন’।
আবার কিছু ক্ষেত্রে আমরা উল্টো লেখি। যেমন- অ্যানার্জি শব্দের সঠিক রূপ হবে ‘এনার্জি’। এভাবে- অ্যারিয়া হবে ‘এরিয়া’, চ্যাকবই হবে ‘চেকবই’, স্প্যাশাল হবে ‘স্পেশাল’, স্ট্যাডিয়াম হবে ‘স্টেডিয়াম’, প্যাপার হবে ‘পেপার’, ইয়ার অ্যান্ডিং হবে ‘ইয়ার এন্ডিং’, ন্যাগেটিভ হবে ‘নেগেটিভ’ ইত্যাদি।
তো বন্ধুরা, তোমরা সবাই ভুলবানান পরিহার করে শুদ্ধবানান চর্চা করবে, এটাই প্রত্যাশা।